সাধারন যজ্ঞের উপকরণ
১) শুকনো কাঠ
২) ঘি ২ কেজি
৩) লুজ ফুল ১
ঝুড়ি
৪) ফুলের মালা
৫) কলা
৬) আম পাতা
৭) কুশ ঘাস
৮) ধান
৯) বালি
১০) বাঁশের
ডালা
১১) যব
১২) কালো তিল
১৩) কর্পূর
১৪) পূর্ণ
আহুতির পাত্র ১টি
১৫) বিভিন্নরকম
ফল (সাজানোর জন্য)
১৬) ধূপ
১৭) সাদা চাল
১৮) হলুদ
১৯) ফুড কালার
(পাঁচ রকম) ৫০ গ্রাম করে।
২০) সুপারী
২১) তুলা
২২) শালু কাপড়
২৩) চন্দন বাটা
২৪) চন্দন কাঠ
২৫) নারকেল ২টি
২৬) স্রক ও
স্রুব
২৭) আরতির
সরঞ্জাম (আরতি প্লেট, প্রদীপ, ঘণ্টা, আচমন পাত্র, বিসর্জন পাত্র, ঘি এর জন্য
গামলা, ইত্যাদি)
· পরিমান গুলি যজ্ঞ কুণ্ড ও অনুষ্ঠানে এবং কতজন অংশগ্রহণ
করবেন তার উপর নির্ভর করে দিতে হবে।
· বধূর
প্রথম গর্ভের তৃতীয় মাসে শুভ দিনে এই অনুষ্ঠান করিবে।
· পতি
সকালে প্রাতঃস্নান করে বাসুদেব অর্চন(৯১) এবং সাত্ত্বিক বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ
(৩৪০) করিবেন।
· তারপর
একটি যজ্ঞকুণ্ড স্থাপন করবেন এবং চন্দ্র নামক অগ্নি সংস্থাপন করে বিরুপাক্ষ
জপ শেষে কুশণ্ডিকা(১২৭) সমাপন করবেন।
· পতি
তার পত্নীকে নিজের ডান দিকে এবং অগ্নির পশ্চিম দিকে কুশাসনের উপর বসাবেন। উভয়েরই
মুখ থাকবে পূর্বদিকে।
· তারপর প্রাদেশ প্রমান দীর্ঘ ঘৃতাক্ত কাঠ অমন্ত্রক
অগ্নিতে নিক্ষেপ করে ব্যস্ত সমস্ত মহাব্যাহৃতি হোম করিবেন নিম্নলিখিত
মন্ত্র দ্বারা –
ওঁ ভূঃ
স্বাহা – ইদম্ বিষ্ণবে ইদম্ ন মম ।
ওঁ ভুবঃ
স্বাহা – ইদম্ অচ্যুতায় ইদম্ ন মম ।।
ওঁ স্বঃ
স্বাহা – ইদম্ নারায়নায় ইদম্ ন মম ।
ওঁ
ভূর্ভুবঃ স্বঃ স্বাহা – ইদম্
অনন্তায় ইদম্ ন মম ।।
·
তারপর পতি তার পত্নীর পিছনে দাড়িয়ে
পত্নীর ডান স্কন্ধ স্পর্শ করে হাত নামিয়ে নাভি স্পর্শ করে নিম্নলিখিত মন্ত্র তিন
বার উচ্চারণ করবেন।
ওঁ পুমাংসৌ
মহাবিষ্ণু – বসুদেবৌ পুমাংসৌ অচ্যুতানন্তৌ উভৌ।
পুমান্
গোবিন্দশ্চ বিষ্ণুশ্চ পুমান্
গর্ভস্তবোদরে।।
·
তারপর ঘৃত প্রদান পূর্বক বাস্ত সমস্ত
মহাব্যাহৃতি হোম করবেন।
ওঁ ভূঃ
স্বাহা – ইদম্ বিষ্ণবে ইদম্ ন মম ।
ওঁ ভুবঃ
স্বাহা – ইদম্ অচ্যুতায় ইদম্ ন মম ।।
ওঁ স্বঃ
স্বাহা – ইদম্ নারায়নায় ইদম্ ন মম ।
ওঁ
ভূর্ভুবঃ স্বঃ স্বাহা – ইদম্
অনন্তায় ইদম্ ন মম ।।
·
তারপর প্রদেশ প্রমাণ ঘৃতাক্ত কাঠ
অমন্ত্রক অগ্নিতে নিক্ষেপ করবেন। এরপর শাট্যায়ন হোম, বামদেব্য গান এবং উদীচ্য কর্ম
সম্পাদন করবেন।
·
পরিশেষে দীক্ষিত বৈষ্ণবদের দক্ষিনা
প্রদান করবেন।
পুংসবনের শুভ
সময়ঃ-
নক্ষত্রঃ- রোহিনী, উত্তরা ফাল্গুনী, উত্তরাষাঢ়া, উত্তরা
ভাদ্রপাদ, হস্তা, মৃগশিরা, পুনর্বসু, শ্রবিষ্ঠা, মূলা এবং পুষ্যামী।
তিথিঃ- প্রতিপদ, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, পঞ্চমী, সপ্তমী,
দশমী, একাদশী এবং ত্রয়োদশী।
দিনঃ- মঙ্গলবার, বৃহষ্পতিবার এবং রবিবার।
অন্য সময়ঃ- যে
মাসের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা গর্ভধারনের জন্য শক্তিশালী।
পুংসবনের অশুভ
সময়ঃ-
নক্ষত্রঃ-ভরণী,
মঘা, পূর্ব ফাল্গুনী, পূর্বাষাঢ়া এবং পূর্ব ভাদ্রপাদ।
তিথিঃ- চতুর্থী, ষষ্ঠী, অষ্টমী, নবমী, দ্বাদশী,
চতুর্দশী, পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা।
কোন মন্তব্য নেই