ভগবানের অর্চাবিগ্রহে ভগবান বিরাজমান।




শ্রীল রূপ গােস্বামী শ্রদ্ধা তথা “পূর্ণ বিশ্বাস” সহকারে বিগ্রহ অৰ্চনের জন্য ভক্তদের বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন


 শ্রদ্ধা বিশেষতঃ প্রীতিঃ শ্রীমূর্তেরদ্ভিসেবনে। 


 ‘ভগবানের শ্রীবিগ্রহের শ্রীপাদপদ্মের সেবায় বিশেষভাবে শ্রদ্ধা এবং প্রীতিপরায়ণ হওয়া উচিত।' (ভক্তিরসামৃতসিন্ধু, ১/২/৯০ থেকে শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত, মধ্য  ২২/১৩০ গ্ৰছে উদ্ধৃত) 


বিগ্রহের স্বরূপ যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলে তবেই এই শ্রদ্ধা ও প্রীতি | জাগে


‘প্রতিমা নহ তুমি,-সাক্ষাৎ ব্রজেন্দ্রনন্দন।” (চৈঃ চঃ মধ্য ৫/৯৬) 

- “হে প্রভু, আপনি প্রতিমা নন। আপনি সাক্ষাৎ ব্রজেন্দ্রনন্দন।”


ভগবান তার অহৈতুকী কৃপায় অর্চাবিগ্রহ রূপে অবতীর্ণ হয়েছেন যাতে বদ্ধ জীবেরা তাকে দর্শন এবং আরাধনা করতে পারে। অর্চাবিগ্রহের আরাধনার মাধ্যমে বদ্ধ জীবেরা ভগবদ্ভক্তি অনুশীলনে তাদের ইন্দ্রিয়াদি নিয়ােগ করবার সুযােগ পাবে। পরমমাৎসাহে সাধনভক্তি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানাদি উদ্যাপনের মাধ্যমে এবং অর্চন বিষয়ক সকল বিধিনিয়মাদি যথাযথভাবে পালন করে, ভক্তগণ প্রত্যক্ষভাবে অর্চাবিগ্রহের মধ্যে বিরাজমান ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্বরূপ উপলব্ধির দুরূহ ব্রত অনুশীলন করে থাকে।


 শ্রীল প্রভুপাদ এই বিষয়ে শ্রীমদ্ভাগবতের (৪/১২/১৭) তাৎপর্যে বলেছেন


ভগবানের অর্চাবিগ্রহের আরাধনা মূর্তিপূজা নয়। ভক্তের উপলব্ধির জন্য অর্চাবিগ্রহ ভগবানের অবতার। তাই ভক্ত মন্দিরে অর্চাবিগ্রহরূপে প্রকাশিত ভগবানের সেবায় যুক্ত হন। পাথর, ধাতু, কাঠ, মণি, আলেখ্য ইত্যাদি স্কুল পদার্থের দ্বারা এই রূপ রচিত হয়। এই সমক্ত পদার্থ স্কুল অথবা জড় পদার্থের প্রতীক। ভক্তরা যেহেতু পূজার বিধি-বিধান পালন করেন, তাই ভগবান যদিও জড় পদার্থ রূপে প্রকাশিত, তবুও তিনি তাঁর আদি চিন্ময় রূপ থেকে অভিন্ন। এইভাবে ভক্ত নিরন্তর ভগবানের চিন্তায় মগ্ন হয়ে, জীবনের চরম উদ্দেশ্য সাধন করেন।


পঞ্চরাত্র প্রদীপ থেকে সংগ্রহীতর্

: APP Link Downloads :


1 টি মন্তব্য:

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.