সন্ন্যাসের উপযুক্ত সময়




শ্রীল প্রভুপাদ ইসকনকে শুধু মুষ্টিমেয় ভক্তমণ্ডলীর মঠ রূপে গড়তে চাননি, তিনি চেয়েছিলেন কৃষ্ণভক্তের একটি বিপুল সমাজ (Society) গড়ে তুলতে।


১৯৭২ সালের ১৭ ডিসেম্বর শ্রীদানবীর প্রভুকে লেখা একটি চিঠিতে শ্রীল প্রভুপাদ বলেন যে, পারমার্থিক প্রগতি সাধনের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞসম্মত ব্যবস্থাপনায় যদি একটি পূর্ণাঙ্গ সমাজ আমাদের বিকশিত ' করতে হয়, তা হলে বহু মহিলাও সেখানে থাকবে। এই সমাজে তারা কি করবে? তারাও শ্রীকৃষ্ণের কাছে এসেছে। আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি না। তাই শ্রীল প্রভুপাদ তার অনেক শিষ্যকে বিবাহিত হওয়ার পরামর্শ দেন। শ্রীল প্রভুপাদ লিখেছেন,


“আমি একজন গৃহস্থ ছিলাম, আর আমার গুরু মহারাজ ছিলেন আঞ্জীবন ব্রহ্মচারী। কিন্তু আমরা দুজনেই একই সেবা গ্রহণ করেছি এবং কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করছি। তা হলে গৃহস্থ আর ব্রহ্মচারীর কী পার্থক্য থাকল?"


(শিক্ষামৃত, পৃঃ ৮৬৮) আমাদের সব কিছুই ভক্তিভরে শ্রীকৃষ্ণের সেবায় লাগানােই হচ্ছে প্রকৃত সন্ন্যাস। সেই অর্থে একজন সন্ন্যাসীর মতাে হৃদয়ের অধিকারী এবং আচরণকারী একজন গৃহস্থও সন্ন্যাসীর সমপর্যায়ভুক্ত যদিও তার। স্ত্রী এবং বহু সন্তান-সন্ততি থাকতে পারে।


এ র স্ত্রী যদি উন্নত ভক্ত হয়, সে স্বামীর সন্ন্যাস গ্রহণকে সানন্দে মেনে নেবে। তবে স্ত্রী যদি উন্নত ভক্ত না-ও হয়, তবুও তাকে অসময়ে ত্যাগ করা অনুচিত। দৃষ্টান্তস্বরূপ, শ্রীল প্রভুপাদ কখনই তার স্ত্রীর আচরণ পছন্দ করতেন না, কিন্তু তিনি জানতেন যে, সন্তানরা বড় না হওয়া। পান্ত সন্ন্যাস গ্রহণ সম্ভব নয়। তাই শুধুমাত্র কর্তব্যের খাতিরে তিনি উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করেছিলেন। সন্তানেরা বড় হলে তিনি গৃহত্যাগ করেন।


বিবাহিত পত্নীকে অন্ততপক্ষে একটি সন্তান দান করা স্বামীর কর্তব্য। যাতে স্ত্রীও খুশি হবে এবং জীবনভর ব্যস্ত থাকার একটি সুযােগ পাবে। স্ত্রী মাত্রেই মা হতে চায়। স্ত্রীকে সন্তান দান না করে অসময়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করলে সে খুব সুখী হবে না। পারমার্থিক সমাজে এরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আমাদের বাঞ্ছনীয় নয়।


আদর্শ গৃহস্থ জীবন থেকে সংগ্রহীতর্

: APP Link Downloads :

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.