নির্মৎসর ব্যক্তির দশটি লক্ষণ

 


১। তিনি সাধু নিন্দা করেন না,

২। কৃষ্ণে ঐকান্তিক বুদ্ধি সহকারে অন্য দেবতাদেরকে পৃথক ঈশ্বর জ্ঞানশূন্য হয়েও তাঁদের প্রতি অবজ্ঞা করেন না,

৩। গুরুজনের প্রতি যথোচিত শ্রদ্ধা করেন,

৪। ভক্তি শাস্ত্রের সম্মান করেন,

৫। বৃথা তর্ক পরিত্যাগ পূর্বক নাম ও নামীর একত্ব বিশ্বাসে নামকে পরমার্থ বলে স্থির করেন,

৬। ভগবানের নামের কদর্থ করে না,

৭। নাম বলে পাপ প্রবৃত্তি করেন না,

৮। হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র উচ্চারণ করাকে বৈদিক কর্মকান্ডে বর্ণিত পুণ্যকর্ম বলে মনে করে না,

৯। পাপী মানুষকে ভগবানের দিব্য নামের মহিমা উপদেশ করে না,

১০। তিনি বিষয়াসক্তিশূন্য এবং ভগবানের নামের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসী।


 তাছাড়া অনর্থসমূহ আরো ছয়টি তরঙ্গ উৎপন্ন করে - (১) শোক, (২) মোহ, (৩) ক্ষুধা, (৪) পিপাসা, (৫) জরা, (৬) মৃত্যু।

 

এই অনর্থগুলি ভক্ত যতদিন না পরিহার করেন ততদিন তার ভক্তিলতা কখনই বর্ধিত হয় না, তার বৃদ্ধি ব্যাহত হতে থাকে। এই সকল অনর্থ দূর হয়ে যায় নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে। 


    শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর তাঁর মাধুর্য্য কাদম্বিনী গ্রন্থে যে চার প্রকার অনর্থের উল্লেখ করেছেন তাহল -

               ১। দু®কৃতোর্ত্থ অনর্থ ,

               ২। সুকৃতোত্থ অনর্থ,

               ৩। অপরাধোত্থ অনর্থ এবং   

               ৪। ভক্ত্যুত্থ অনর্থ ।  


দু®কৃতোর্থ এবং সুকৃতোত্থ অনর্থঃ  

       পুণ্য কর্ম থেকে উদ্ভূত অনর্থ হচ্ছে উপভোগের বাসনা। কোন কোন ঋষিরা পুণ্যকর্ম থেকে জাত অনর্থকে পাঁচ প্রকার ক্লেশের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত বলে মনে করেন। নানা প্রকার উপভোগের অভিনিবেশকে সুকৃতোত্থ অনর্থ বলে। অবিদ্যা, অস্মিতা, রাগ, দ্বেষ ও অভিনিবেশ - এগুলি প্রকৃত পক্ষে পাঁচ প্রকার অবিদ্যার কারণ।  এগুলি থেকে ঠিক বা ভুল কর্ম করার প্রবনতা জাগে। যার ফলে ধর্ম বা অধর্ম এবং এই ভাবে পাপ ও পুণ্য কর্ম হয়ে থাকে। পাপ কর্ম বা পুণ্য কর্মের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ জীবের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের উদয় হয়।


অবিদ্যাঃ - অনিত্য বস্তুতে নিত্যবুদ্ধি, অশুচিতে শুচি জ্ঞান, দুঃখকে সুখ অনুভব এবং অনাত্মতে আত্মজ্ঞান করাকে অবিদ্যা বলা হয়।


অস্মিতাঃ- মিথ্যা অহঙ্কার, আমি ও আমার এরূপ দেহাত্মবুদ্ধি এবং প্রত্যক্ষ ইন্দ্রিয়ানুভূতিকে কেবল সত্য বলে মনে করা। 


রাগঃ - আসক্তি, জড় সুখ লাভ ও দুঃখের নিবৃত্তির উপায়কে রাগ বলে। অথবা ইপ্সিত বস্তুর লাভের পর আরও বেশী লাভ করার বাসনাকে রাগ বলে।


দ্বেষঃ- ঘৃণা, দুঃখ বা দুঃখের কারণের প্রতি বিরক্তিকে দ্বেষ বলে।


অভিনিবেশঃ- দৈহিক সুখের প্রতি অত্যন্ত আসক্তি। মৃত্যু এই সমস্ত দৈহিকসুখ থেকে বঞ্চিত করে বলে মরনের প্রতি ভয়কে অভিনিবেশ বলে।


কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.