অসমর্থপক্ষে অনুকল্প গ্রহণীয়
অসুস্থতা কিংবা বার্দ্ধক্যের কারণেও একাদশী ব্রত বর্জ্জনীয় নহে। মার্কন্ডয় পুরাণে আছে-
একভক্তেন নক্তেন বালবৃদ্ধাতুরঃ ক্ষিপেৎ।
পয়োমূলফলৈর্বাপি ন নির্দ্বাদশিকো ভবেৎ ॥
“বালক, বৃদ্ধ ও আতুর ব্যক্তি নিশাতে একবার মাত্র আহার কিংবা দুগ্ধ ও ফল-মূল গ্রহণপূর্ব্বক তিথি অতিবাহিত করিবেন, কিন্তু কোনক্রমেই একাদশী-বর্জ্জিত হইবেন না।”
ব্যাধিভিঃ পরিভূতানাং পিত্তাধিকশরীরিণাম্।
ত্রিংশদ্বর্ষাধিকানাঞ্চ নক্তাদি-পরিকল্পনম্ ॥ (হৎ ভঃ বিঃ ১২/৯৩)
“যাঁহারা রোগগ্রস্ত, কিংবা যাঁহাদের পিত্তাধিক্য রহিয়াছে এবং যাঁহাদের বয়স ত্রিশ বৎসরের অধিক, তাঁহারা রাত্রি প্রভৃতিতে অনুকল্প গ্রহণ করিতে পারেন।”
মহাভারতে উদ্যোগ পর্ব্বে জল, ফল, মূল, দুগ্ধ, ঘৃত, সদ্গুরু-বাক্য ও ঔষধকে ব্রতনাশক নহে বলিয়া উক্ত হইয়াছে (হঃ ভঃ বিঃ ১২/১০০)। মূলতঃ অসমর্থপক্ষে একাদশীব্রতকালে একবার মাত্র অনুকল্প গ্রহণের ব্যবস্থাই দৃষ্ট হয়-বহুবার ভোজন নিষিদ্ধ হইয়াছে।
কোন মন্তব্য নেই