শ্রীবলদেব-পূর্ণিমা




শ্রীহরিভক্তিবিলাস-গ্রন্থাদিতে শ্রীবলদেব-প্রভু সম্বন্ধে ব্রত উল্লিখিত না হইলেও গৌড়ীয় মহাজনানুভব-বিচার-অনুসোরে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় শ্রীবলদেব প্রভুর আবির্ভাব উপলক্ষে শ্রীবলদেব-ব্রতোপবাস সাধকভক্তগণের জন্য অবশ্য কর্ত্তব্য। শ্রীবলদেব প্রভুই গৌরাবতারে পরম দয়াল শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভু; তাঁহার কৃপা বিনা শ্রীগৌর তথা শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-চরণকমল লাব নিতান্তই অসম্ভব-

                         “হেন নিতাই বিনে ভাই,          রাধাকৃষ্ণ পাইতে নাই,

                                      দৃঢ় করি’ ধর নিতাইয়ের পায়।”

সুতরা গৌড়ীয় মহাজনগণের নির্দ্দেশ অনুসারে সাধকভক্তগণ অতিযতেœর সহিত শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভু এবং শ্রীবলদেব প্রভুর আবির্ভাব-কালে ব্রতোপবাস- পালন দ্বারা তাঁহার অহৈতুকী কৃপা প্রার্থনা করেন।


শ্রীবলদেব তত্ত্ব ও মহিমা

ব্যাসাবতার শ্রীশ্রীল বৃন্দাবন দাস ঠাকুর তাঁহার ‘শ্রীচৈতন্য ভাগবত’-গ্রন্থে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু তথা বলদেব প্রভুর মহিমা অশেস-বিশেষে কীর্ত্তন করিয়াছেন। জগদ্গুরু শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর উক্ত গ্রন্থের ‘গৌড়ীয়-ভাষ্যে’ সেই সকল মহিমা যেরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা আলোচনা করিলে শ্রীবলদেব-তত্ত্ব, তাঁহার মাহাত্ম্য, সুতরাং তাঁহার আবির্ভাব-তিথির মহিমা প্রভৃতি উপলব্ধি সম্ভব হইবে।


“‘স্বয়ংরূপ’ শ্রীগৌরকৃষ্ণের অভিন্ন ‘স্বয়ংপ্রকাশ’ শ্রীনিত্যানন্দ-বলদেব প্রভুই ‘মূল-সঙ্কষর্ণ’। তিনিই-‘সঙ্কর্ষণ’ এবং ‘কারণাব্ধিশায়ি’-‘গর্ভোদকশায়ি’-‘ক্ষীরোদকশায়ি’ পুরুষাবতার-ত্রয় ও সহ¯্রফণাযুক্ত ‘অনন্তদেব’ বা ‘শেষ’-এই বিষ্ণুতত্ত্ব-বর্গের মূল আকরবা অংশী।


“শ্রীনিত্যানন্দ-সঙ্কর্ষণ প্রভু স্বয়ং বিষ্ণু-পরতত্ত্ব বস্তু ; সুতরাং সমান ধর্ম্মবশতঃ ‘স্বয়ংরূপ’ শ্রীকৃষ্ণেরই প্রকাশ-বিশেষ। অর্থাৎ সমগ্র চিৎসত্তা বা শুদ্ধসত্ত্ব প্রাকট্য-বিধায়িনী ‘সন্ধিনী’ শক্তির অধিষ্ঠাতৃ দেবতাই-শ্রীনিত্যানন্দ-বলরাম।”

                           “অতএব আগে বলরামের স্তবন।

                            করিলে সে মুখে স্ফূরে চৈতন্য কীর্ত্তন।”  (চৈঃ ভাঃ আঃ ১/১৪) 

““সাত্বত শাস্ত্রবিগ্রহ শ্রীমন্নিত্যানন্দ-বলরামের স্তব অর্থাৎ না-গুণানুকীর্ত্তন-ফলেই জীবের অবিদ্যা-জনিত অচেতন ‘উপাধি’ বা বন্ধন নষ্ট হয়। তখন শুদ্ধজীব শ্রীনিত্যানন্দ রামকে গুরুজ্ঞানে তাঁহারই আনুগত্যে অপ্রাকৃত সেবোন্মুখী জিহ্বায় নিজ অভীষ্টদেব শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যের কীর্ত্তন করিতে থাকেন।”


“যে সকল মুমুক্ষু ব্যক্তি শ্রীগুরুমুখে শ্রীঅনন্তের গুণচরিত শ্রবণ করিয়া সর্ব্বতোভাবে তাঁহার ধ্যান করেন, শ্রীঅনন্তদেব তাঁহাদের সত্ত্বরজস্তমো-গুণময় হৃদয়ের অভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হইয়া অনাদি-কাল-সঞ্চিত কর্ম্মবাসনা-জনিত সংসার শীঘ্রই বিনাশ করিয়া ফেলেন।” সেহেতু শ্রীনরোত্তম ঠাকুর বলিয়াছেন-“আর কবে নিতাই চাঁদের করুণা হইবে। সংসার-বাসনা মোর কবে তুচ্ছ হবে ॥”


“রুদ্রের অন্তর্যামী-শ্রীসঙ্কর্ষণ প্রভু ! পার্ব্বতী প্রভৃতির সহিত মহেশ শ্রীসঙ্কর্ষণ প্রভুকে নিজ অভীষ্ট-দেবতারূপে নিত্যকাল স্তবাদি দ্বারা আরাধনা করেন (ভাঃ ৫।১৭।১৬-২৪) দ্রষ্টব্য)। অতএব যিনি মূল-সঙ্কর্ষণ-শ্রীনিত্যানন্দ-বলদেব প্রভুর চরিত্র শ্রবণ বা কীর্ত্তন করেন, মহেশ ও পার্ব্বতী তাঁহাকে নিজ আরাধ্য-দেবতার সেবক-জ্ঞানে 


তাঁহার প্রতি মহাসন্তুষ্ট হন।”

“যাহারা শ্রীবলদেবকে বিষয়বিগ্রহ-তত্ত্ব -শ্রীবিষ্ণু বলিয়া না জানিয়া তাঁহার ভোক্তৃত্ব অপসারণ করিতে প্রয়াস পায়, তাহারা অনভিজ্ঞতা-দোষে দুষ্ট।” শ্রীমদ্ভাগবতে ১০ম স্কন্ধে ৩৪ ও ৬৫ তম অধ্যায়ে এবং ৫ম স্কন্ধে ১৭ ও ২৫ অধ্যায়ে, ৬ষ্ঠ স্কন্ধে ১৬শ অধ্যায়ে  সকল জীবের সেব্যতত্ত্ব শ্রীবলরামের বা সঙ্কর্ষণের মহিমা প্রকাশিত হইয়াছে। তাঁহাতে যাহারা উদাসীন থাকে, তাহারা কখনও ভক্তিমার্গে উন্নতি লাব করিতে পারে না। তাহারা নিজ মনোধর্ম-জাত মায়িক বিচারক্রমে অপ্রাকৃত বিষ্ণুতত্ত্বের আকর-স্বরূপ শ্রীবলরাম বা সঙ্কর্ষণতত্ত্বে প্রবেশ লাভ করিতে অসমর্থ।” (শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর)।


‘সন্ধিনী’-শক্তির অধিষ্ঠাতা শ্রীবলদেব-প্রভু হইতেই শ্রীকৃষ্ণের সমস্ত সেবা-উপবরণ এবং সকল ‘সেবক’ তত্ত্বের প্রকাশ। সুতরাং তাঁহার কৃপা বিনা শ্রীকৃষ্ণসেবায় নিযুক্ত হওয়া অসম্ভব। আবার, “নামাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ”- অর্থাৎ ‘চিদ্বলহীন কেহ ভগবানকে লাভ করিতে পারে না’-এই উপনিষদ্-বাক্যে দৃষ্ট হয়, জীব চিদ্বলের অভাবেই মায়া দ্বারা বশযোগ্য হইয়া ভগবদ্বিমুখ হইয়াছে। সুতরাং সুবুদ্ধিমান ব্যক্তি গুরুতত্ত্বের আকরস্বরূপ ও বিষ্ণুতত্ত্বের অংশী-স্বরূপ এবং সর্ব্ব চিদ্বলের আধার-স্বরূপ সেই বলদেব প্রভুর শরণাগত হন এবং তাঁহার নিকট হইতেই তিনি লব্ধচিদ্বল হইয়া গুণময় মায়া অতিক্রম করত ‘নির্গুণ’-অবস্থা লাভ করেন এবং অভীষ্ট ভগবৎসেবা-লাভে কৃতকৃথার্থ হন। তজ্জন্য ভজন-চতুর ব্যক্তি মাত্রই বলদেব-পূর্ণিমায় সাদরে ব্রতোপবাস করিয়া শ্রীবলদেব প্রভুর প্রীতিবিধানে ব্রতী হন।


শ্রীবলদেব আবির্ভাব লীলা

বৈবস্বত মন্বন্তরে অষ্টবিংশ চতুর্যুগের দ্বাপর ও কলির সন্ধিক্ষণে একোনবিংশ (১৯) অবতারে ভগবান বলরাম ও বিংশ (২০) অবতারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বৃষ্ণিবংশে অবতীর্ণ হইয়া পৃথিবীর ভার অপহরণ করিয়াছিলেন। শ্রীবলদেব প্রথমে দেবকীদেবীর সপ্তম গর্ভে আবির্ভূত হইয়া সাতমাস অবস্থান করিয়াছিলেন। তখন স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যোগমায়াকে আদেশ করিলেন,-

                                “দেবক্যাং জঠরে গর্ভং শেষাখ্যং ধাম মামকম্।

                                 তৎ সন্নিকৃষ্য রোহিণ্যা উদরে সন্নিবেশয় ॥” (ভাঃ ১০।২।৮)

অর্থাৎ ‘দেবকীর উদরে ‘শেষ’ নামক আমার যে অংশ অবস্থিত আছেন, তাঁহাকে আকর্ষণ করিয়া রোহিণীর উদরে সংস্থাপন কর।’ শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী ঠাকুর এই শ্লোকের ব্যাখ্যায় জানাইয়াছেন,-‘আমার অংশ বলদেব। তাঁহাকে ‘শেষ’ নামে বলা হয়, যেহেতু তাঁহারই নিজ অংশ ‘শেষ’ দ্বারা তিনি পৃথিবী ধারন করেন। রোহিণী দেবী এই বলদেব-স্বরূপের নিত্য মাতা। আমি দেবকীর গর্ভে প্রবিষ্ট হইব বলিয়া তিনি পূর্ব্বেই সে-গর্ভে প্রবেশ করিলেন এবং শয্যা-আসন-স্বরূপ নিজ অংশ ‘শেষ’কে তথায় স্থাপন করিয়া তিনি স্বয়ং নিজ মাতা রোহিণীর গর্ভে প্রবিষ্ট হইলেন।’


শ্রীযোগমায়া শ্রীহরির আদেশে দেবকীদেবীর সেই সপ্তম গর্ভের সপ্তম মাসে (মাঘ-মাসে) উক্ত গর্ভকে শ্রীরোহিণী-গর্ভে স্থানান্তর করিলেন। শ্রীরোহিণী সেই কালে কংসের ভীষণ অত্যাচারে জর্জ্জরিত শ্রীবসুদেবের দ্বারা প্রেরিতা হইয়া গোকুলে নন্দভবনে অবস্থান করিতেছিলেন। সেই সময় তিনিও সপ্তম মাসের গর্ভবতী ছিলেন। একদা তিনি মধ্যরাত্রে গাঢ় নিদ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় স্বপ্নে দেখিলেন যে, তাঁহার গর্ভ নিপাতিত হইল। ইহাতে বিলাপ করিতে থাকিলেন। তখন যোগমায়া তাঁহাকে সান্ত¦না প্রদান পূর্ব্বক বলিলেন,- হে শুভে, দুঃখ করিও না, দেবকীর গর্ভ আকর্ষিত হইয়া তোমার গর্ভে স্থাপিত হইল। এ জন্য তোমার এই পুত্রের নাম হইবে‘সঙ্কর্ষণ’।


শ্রীবলদেব রোহিণীর গর্ভে সাতমাস অবস্থান করিয়া সর্ব্বমোট চৌদ্দমাস গর্ভবাসের পর শ্রীকৃষ্ণের অগ্রজ-রূপে ভূমিষ্ঠ হইলেন।  শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃতে শ্রীবলদেবের এই অগ্রজ ভূমিকার কারণ বর্ণিত হইয়াছে,-

                             “নিত্যানন্দ-স্বরূপ পূর্ব্বে হঞা ‘লক্ষ্মণ’।

                              লঘুভ্রাতা হঞা করে রামের সেবন ॥

                              রামের চরিত্র সব-দুঃখের কারণ।

                              স্বতন্ত্র লীলায় দুঃখ সহেন লক্ষ¥ণ ॥

                               নিষেধ করিতে নারে, যাতে ছোট ভাই।

                               মৌন ধরি’ রহেন লক্ষ্মণ, মনে দুঃখ পাই ॥

                               কৃষ্ণ-অবতারে জ্যেষ্ঠ হৈলা সেবার কারণ।

                               কৃষ্ণকে করাইলা নানা সুখ-আস্বাদন ॥

                               রাম-লক্ষ্মণ-কৃষ্ণ-রামের অংশ বিশেষ। 

                               অবতার-কালে দোঁহার দোঁহাতে প্রবেশ ॥

                               সেই অংশ লঞা জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠাভিমান।

                               অংশাশীরূপে শাস্ত্রে করয়ে ব্যাখ্যান ॥”

শ্রীল জীব গোস্বামী-কৃত ‘শ্রীগোপাল-চম্পু’ গ্রন্থে শ্রীবলদেবের আবির্ভাব এইরূপে বর্ণিত হইয়াছে,-

“অত যোগমায়া রোহিণ্যাঃ সাপ্তমাসকং গর্ভং বিধায় দেবক্যাঃ তদ্বিধং তং(গর্ভং) তস্যাং নিযোজয়ামাস। ততশ্চ লব্ধসর্ব্বসময়-সম্পদ্দেশে চতুর্দ্দশে মাসি শ্রাবণতঃ প্রাক্ শ্রবণর্ক্ষে সমস্তসুখ-রোহিণী রোহিণী গুণগণনয়া সুষমং সিতসুষমং সূতং সুষাব।”- অর্থাৎ, অনন্তর যোগমায়া রোহিণীর সপ্তম গর্ভ নষ্ট করিয়া দেবকীর তাদৃশ সপ্তম মাসের গর্ভ তাহাতে যোজনা করিলেন। তাহার পর সমস্ত শুভসময়-সূচক সম্পত্তিদশাযুক্ত চতুর্দ্দশ মাসে শ্রাবণ গুণগণ-সমন্বিত পরম সুন্দর শুভ্রবর্ণ এক পুত্র প্রসব করিলেন।


 “ শুভ্রাশুবক্ত্রং তড়িদালি-লোচনং নবাব্দকেশং শরদভ্র-বিগ্রহম্।

ভানুপ্রভাবং তমসূত রোহিণী তত্তচ্চ যুক্তং স হি দিব্যবালকঃ ॥  (গোঃ চঃ পূর্ব্ব ৩।৭০)


রোহিণীর গর্ভ হইতে যে-পুত্র উৎপন্ন হইলেন, তাঁহার চন্দ্রের মত শ্রীমুখ, বিদ্যুৎপুঞ্জের মত নয়নজ্যোতিঃ, নব-জলধরের মত কেশ, শারদীয় মেঘের মত শুভ্রবর্ণ দেহ, সূর্য্যরে মত তেজস্বী। এই সকলই উপযুক্তই, কেননা সে দিব্যবালক(মূলসঙ্কর্ষণ)।


এই শ্রাবণ-পূর্ণিমার পর যে কৃষ্ণপক্ষ আরম্ভ হইয়াছির, তাহারই অষ্টমী তিথিতে পূর্ণচন্দ্র শ্রীকৃষ্ণশশী শ্রীযশোদা ও শ্রীদেবকীর গর্ভ হইতে অষ্টম মাসে যুগপৎ আবির্ভূত হন। শ্রীবলদেব শ্রীকৃষ্ণ হইতে মাত্র সাত দিনের অগ্রজ-এইজন্য উভয়ের একইসাথে গর্গমুনির দ্বারা নামকরণ, নন্দালয়-আঙ্গিনায় জানুচংক্রমণ (হামাগুড়ি-লীলা) প্রভৃতি দেখা যায়।


ব্রত-বিধি

একাদশী-ব্রতের পূর্ব্বদিবসে ও পরদিবসে ও একাদশী-দিনে যেপ্রকার বিধি-বিধান পালনীয়, সেইপ্রকারেই এই পূর্ণিমার পূর্ব্বদিবসে, ব্রতদিবসে ও পরদিবসে বিধি সকল পালন করিতে হইবে। ব্রত-দিবসে প্রাতঃকালীন নিত্য কর্ম্ম ও সন্ধ্যা-বন্দনাদির পর উপবাস সহকারে শ্রীবলদেব প্রভুর সুসজ্জিত চিত্রপট সম্মুখে তাঁহাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করিয়া এইপ্রকার উপবাস-সঙ্কল্প লইবেন, যথা-‘হে বলদেব প্রভু, হে কৃপাময়, আজ তোমার আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ব্রতোপবাস পালন করিব। তুমি আমাকে যথা শক্তি প্রদান করিয়া নিত্য ভগবৎসেবায় নিযুক্ত কর।’ তদনন্তর বলদেব মহিমা, তাঁহার আবির্ভাবাদি লীলা শ্রীমদ্ভাগবত, শ্রীচৈতন্য ভাগবত, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে আলোচনা, মহাজন পদাবলী-কীর্ত্তন প্রভৃতি অনুষ্ঠান কর্ত্তব্য। এইপ্রকারে সায়ংকালে যথানিয়ম 

শ্রীবলদেব প্রভুর বিশেষ পূজাভিষেক, ভোগরাগ ও পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করিবেন। নাম-সঙ্কীর্ত্তনাদি সহ রাত্রিজাগরণ পূর্ব্বক প্রভাতে তাঁহার অর্চ্চনান্তে শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণবগণকে মহাপ্রসাদ ভোজন করাইয়া স্বয়ং ভোজন করিবেন। 


কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.