সংক্রান্তি, জননাশৌচ কিংবা মরণাশৌচেও একাদশী বর্জ্জনীয় নহে
“গাভী শ্বেতই হউক বা কৃষ্ণই হউক, দুগ্ধমান গুণে যেমন উভয়ই সমান, তদ্রুপ শুক্লা ও কুষ্ণা উভয় একাদশী একই ফলপ্রদ” (গর্গসংহিতা)।
সর্ব্বেষামিহ পাপনামাশ্রয়ঃ স তু কিির্ত্ততঃ।
বিবেচয়তি যো মোহাদেকাদশৌ সিতাসিতে ॥ (কালিকা পুরাণ)
সুতরাং “মোহবশতঃ যে শুক্লা ও কৃষ্ণা একাদশীর বিচার করে, সে ইহলোকে সর্ব্বপাপাশ্রয় বলিয়া কথিত হয়”।
পুনরায়, রবিবারে, সংক্রান্তিতে ও চন্দ্র-র্সর্য্যগ্রহণ-কালে পুত্রবান গৃহীর উপবাস অনুচিত বলিয়া যে স্মার্ত্তবিধান, তৎসম্বন্ধে ঋষি জৈমিনির সিদ্ধান্ত এই যে,-কাম্য উপবাসের ক্ষেত্রেই রবিবার ইত্যাদির নিষিদ্দতা আছে। কিন্তু হরিবাসরে উপবাস নিত্য বলিয়া সেস্থলে কোন প্রকার নিষিদ্ধতা নাই (হঃ ভঃ বিঃ ১২/৫৯-৬০)। এমনকি, “ঘোর আপদ্-অবস্থায় বা আনন্দ হমাগত হইলে কিংবা জননাশৌচ বা মরণাশৌচেও একাদশী-ব্রত ত্যাগ করিতে নাই” (বিষ্ণুরহস্য)।
কোন মন্তব্য নেই