অনর্থ নিবৃত্তি
অনর্থ নিবৃত্তি
অনর্থ- ভজনক্রিয়ার পর অনর্থনিবৃত্তি।
ভক্তি সাধকের যা অর্থ নয়, তাই তার নিকট অনর্থ। সংসারী লোকদিগের মায়াভোগরূপ পৌরুষই তাদের অনর্থ। সংসারী মানুষের নিকট পার্থিব ধন-সম্পদ অর্থ বলে মনে হলেও ভক্ত সাধকের অর্থ বা কাম্য বস্তু হলো শ্রীকৃষ্ণের প্রেমময়ী সেবা। জীবের এটাই প্রকৃত অর্থ বা পরমার্থ, কেননা জীব শ্রীকৃষ্ণের নিত্য সেবক। জীব মায়াপাশে বদ্ধ হয়ে তার স্বরূপের কর্তব্য ভুলে অনর্থজালে জড়িয়ে আছে। অনাদি বদ্ধ জীবের জড়ভোগ বাসনা বা দুর্বাসনাই অনর্থসমূহের মূল।
অনর্থ শব্দটির অর্থ হচ্ছে Ñ অর্থহীন, সারহীন, বিপত্তি, অনিষ্ট, অমঙ্গল। ভক্তিযোগ সম্বন্ধে যখন ব্যবহৃত হয়, তখন অনর্থ শব্দে বোঝায় হৃদয়ের অবাঞ্ছিত (অর্থহীন, অনিষ্টকর) জড় বাসনা, যা ভক্তিপথে উন্নতি প্রতিহত করে।
শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর অনর্থ সম্পর্কে বলেছেন -“ কখনো কৃষ্ণ বিষয়ক ছাড়া অন্যরকম কিছু ভাববে না, যা কিছু জড় পদার্থে রচিত, জড়, তা অনর্থ এবং সেজন্য তা বর্জনীয়।”
কোন মন্তব্য নেই