সকল নর-নারী নির্ব্বিশেষে একাদশীব্রত করণীয়



অষ্টবর্ষাধিকো মর্ত্তো অপূর্ণাশিিতবৎসরঃ।

একাদশ্যামুপবসেৎ পক্ষয়োরুভয়োরপি ॥ (কাত্যায়ন স্মৃতি)

“আট বৎসর বয়ঃক্রম হইতে আশী বৎসর পর্য্যন্ত নর-নারী নির্বিষেশে সকল মানবেরই একাদশীতে উপবাস করা কর্ত্তব্য।”

পদ্ম পুরাণে পার্ব্বতীর প্রতি শিবের উক্তিতে দেখা যায়,-


বর্ণানামাশ্রমাণাঞ্চ স্ত্রীনাঞ্চ বরবর্ণিনি।

একাদশ্যুপবাসস্তু কর্ত্তব্যো নাত্র সংশয়ঃ ॥


“ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়াদি সকল বর্ণ, ব্রহ্মচারী-গৃহস্থাদি সকল আশ্রম ও সকল স্ত্রীজাতির পক্ষেই এই তিথিতে যে উপবাস করা উচিত, ইহাতে কোন সংশয় নাই।”

সুতরাং পতি জীবিত থাকিতে নারীর ব্রতোপবাস-পালনে পতির আয়ু-হরণ ও সেই নারীর নরকগমন হইয়া থাকে বলিয়া যে কোন শাস্ত্রোক্তি দেখা যায়, তাহা একাদশী প্রভৃতি হরিবাসর ব্রতোপবাস সম্বন্ধে নহে; নতুবা পার্ব্বতীর প্রতি স্বয়ং শিব ঠাকুরের এইপ্রকার উপদেশ হইত না। স্বয়ং ভগবান গৌরচন্দ্রই ত৭াহার পিতার বর্ত্তমানে শচীমাতাকে একাদশী-ব্রতোপবাসের উপদেশ করিয়াছিলেন (চৈঃ চঃ আদি ১৫/৮-১০)। বিষ্ণুধর্ম্মোত্তরে “সপুত্রশ্চ সভার্য্যশ্চ স্বজনৈর্ভক্তিসংযুতঃ এদশ্যামুপবসেৎ”- বাক্যে সস্ত্রীক একাদশী ব্রতোপবাসের নির্দেশই দৃষ্ট হয়। আবার, শ্রীনারদ পুরাণে রু´াঙ্গদ-রাজার নিজরাজ্যে অষ্ট হইতে অশীতি বর্ষ পর্য্যন্ত কি নর, কি নারী সকলের পক্ষেই একাদশীব্রত পালিত না হইলে শাস্তির ঘোষনা দেখা যায়। এমনকি ঋতুমতী অবস্তায়ও নারীজাতির একাদশীতে ভোজন নিষিদ্ধ-“একাদশ্যাং ন ভুঞ্জীত নারী দৃষ্টে রজস্যপি” ( হঃ ভঃ বিঃ ১২/১৬)।


একাদশী বৈষ্ণবব্রত বলিয়া একমাত্র বৈষ্ণবগণেরই করণীয়. ইহা নহে। স্কন্দপুরাণে স্বয়ং শিবঠাকুরই ঘোষণা 

করিয়াছেন,-

                                 ন শৈবো ন চ সৌরো বা নাশ্রমী তীর্থসেবকঃ।

                                 যোভুঙ্ক্তে বাসরে বিষ্ণোঃ শ্বপচাধিকো হি সঃ ॥

                                 বিপ্রিয়ং তেন মে গৌরি কৃতং দুষ্টেন পাপিনা।

                                 মদ্ভক্তিবলমাশ্রিত্য যো বৈ ভুঙ্ক্তে হরের্দ্দিনে ॥

“হরিবাসরে ভোজন করিলে তাহাকে শৈব, সৌরী, কিংবা আশ্রমী অথবা তীর্থসেবী বলিয়া গণ্য করা যায় না ; সে শ্বপচ অপেক্ষাও পাপী। আমার উপাসনা করে বলিয়া কেহ যদি এই ব্রত অমান্য করে, সে আমার কখনও প্রিয় নহে”। 


কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.