জড় জাগতিক জীবন সর্বদা ভয়াবহ। কারন কি?

 

ভয়



ভাঃ- ৭/৬/৫ ভয়ম আশ্রিতঃ জড় জাগতিক জীবন সর্বদা ভয়াবহ। কারন কি?

ক) প্রতি পদে পদে বিপদ। পদম পদম যদ্বিপদম্‌।

খ) নিরন্তর জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধির দ্বারা বিচলিত ও উৎকণ্ঠায় পূর্ণ।

সাধারণভাবে কিছু ভয়ের দৃষ্টান্তঃ

Ø উচ্চপদ থেকে অধঃপতিত হওয়ার ভয়।

Ø নিম্ন পদে সর্বদা তিরস্কৃত  হওয়ার ভয়।

Ø বিপদে সুরক্ষিত থাকার ভয়।

Ø শিশু স্কুলে পড়ার ভয়।

Ø ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার ভয়।

Ø পতি পত্নীর থেকে ভয়।

Ø পত্নী পতির থেকে ভয়।

Ø শশুর শাশুড়ি বৌমা থেকে ভয়।

Ø বৌমা শশুর শাশুড়ি থেকে ভয়।

Ø পিতা-মাতা সন্তানের থেকে ভয়।

Ø সন্তান পিতা-মাতা থেকে ভয়।

Ø  সুস্থ ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার ভয়।

Ø সন্মানীয় ব্যক্তি অস্মানের ভয়।

Ø উচ্চ কুলসম্পন্ন ব্যক্তি কুলের ভয়।

Ø বলবান ব্যক্তি দুর্বল হওয়ার ভয়।

Ø সৌন্দর্যপরায়ন ব্যক্তি জরাগ্রস্থ হওয়ার ভয়।

Ø রোগী ডাক্তারকে ভয়।

Ø ডাক্তার সংক্রামক ব্যধির জন্য (করোনা) হাসপাতালে যেতে ভয়।

Ø কর্তৃপক্ষ তার অধস্তন থেকে ভয়।

Ø অধস্তন ব্যক্তিরা তাদের কর্তৃপক্ষ থেকে ভয়।

Ø ব্রত করতে গিয়ে অপরাধের ভয়।

Ø চোর পুলিশকে ভয়।

Ø ব্রহ্মচারী ভবিষ্যত ভয়।

Ø ভোগের জন্য মৃত্যু ভয়।

শরীর না থাকলে আমি কি নিয়ে ভোগ করব।

o   শ্রীশ্রীমৎ ভক্তি পুরুষোত্তম স্বামীকে প্রশ্ন শ্রীপাদ লক্ষ্মীগোবিন্দ প্রভুর আরে আমার নিজেরই কোন নিশ্চয়তা নেই আর তোমাকে কি বলব! তাই একজনের স্মরণ রেখো।

o   যেমন ভক্ত প্রোহ্লাদ, মহারাজ অম্বরীষ দুর্বাসা, শ্রীল প্রভুপাদ, আচার্যবর্গ।

 

ভয়ের কারন কি?

      ক) উপযুক্ত কৃষ্ণভক্তির অভাব।

       খ) কৃষ্ণভক্তিতে দৃঢ়তা না থাকা।

       গ) কৃষ্ণভক্ত বলবতী না হওয়া।

       ঘ) শুদ্ধ ভক্তি অবলম্বন করছি না।

       ঙ) ভোগের জন্য মৃত্যু ভয়।

একবার শ্রীল প্রভুপাদ এক পার্কের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ঘুরে আসলে অনেক সময় লাগবে পার্ক No Entry – ভক্তরা পভুপাদ ওখানে নো এণ্ট্রি প্রভুপাদ লাঠি দিয়ে সঙ্গে আসার জন্য দেখানো অবশেষে পার্ক অতিক্রম।

 

ভয় মুক্ত হওয়ার পন্থাঃ-

      ক) যাকে স্বয়ং ভয়ও ভয় করে তার শরনাপন্ন  হওয়া।

              ভাঃ- ১/১/১৪

                           আপন্নঃ সংসৃতিং ঘোরাং যন্নাম বিবশো গৃণন্‌।

                        ততঃ সদ্যো বিমুচ্যেত যদ্বিভেতি স্বয়ং ভয়ম্‌।।

অনুবাদঃ জন্ম-মৃত্যুর ভয়ঙ্কর আবর্তে মানুষ বিবশ হয়েও পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দিব্য নাম উচ্চারণ করতে করতে অচিরেই সেই সংসার চক্র থেকে মুক্ত হয়, সেই নাম স্বয়ং মহাকালও ভীত হন।

     

খ)                ভজ হুরে মন             শ্রীনন্দনন্দন

                        অভয়চরণারবিন্দ রে।।

                  কমলদল জল                   জীবন টলমল

 

গ) ক্ষনভঙ্গুর জীবন কি কলিকা, কাল প্রাত মে জানে খিলি না খিলি।

 

ঘ)          ভুলিয়া তোমারে          সংসারে আসিয়া

                        পেয়ে নানাবিধ ব্যাথা।

 

ঙ) যার জড় বাসনা নেই তার কোনো ভয় নেই। যেমন জড় ভরত।

 

ভয় আপেক্ষিকঃ- যেমন একটি শিশু হারিয়ে গেলে ভয়, ভয় মুক্ত হবে মায়ের কোল। শিশুটি একটু বড় হলে প্রতিবেশীদের ঝগড়া দেখে ভয়, বাড়িতে মা থাকলেও পিতা এলে  ভয়মুক্ত। পাড়ায় ডাকাত পড়েছে, পিতা-মাতা থাকলেও, পুলিশ এলে ভয় মুক্ত। প্রবল প্রাক্রৃতিক দুর্যোগ সকলে থাকলেও, দেবতাদের শরণাগত হয় ভয়মুক্ত হওয়ার জন্য। দেবতারাও Tension রাবন, হিরন্যকোশিপু আদি অসুরদের ভয়ে ভীত, তারা ভয়মুক্ত হন ভগবানের শরণাগত হওয়ার ফলে।

       সুতরাং আমরা প্রকৃত  ভয়মুক্ত হতে পারি কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলে।

       ভয়ম দ্বিতীয়ভিনিবেশত

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.