পুরুষোত্তম মাস
বাংলা বর্ষপঞ্জিতে মোটামুটি দুই থেকে তিন বছর পরপর একটি
অধিক মাস দেখা যায়। চান্দ্র ও সৌরবর্ষের মধ্যে সামঞ্জস্য
বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত একটি মাস হিসাব করা হয় । এই
অতিরিক্ত মাসটিকেই পুরুষোত্তম মাস বলা হয়। এটি অনেকটা
ইংরেজি অধিবর্ষের মতো।
যেহেতু অধিমাসে কোনো পালনীয় তিথি বিদ্যমান থাকে না,
তাই কোনো বৈদিক কর্মকাণ্ড এই মাসে পালিত হয় না। সেজন্য
স্মার্ত পণ্ডিতেরা অধিমাসকে ‘মলমাস’ বা ‘মলিনমাস’ বলে ঘৃণা
করেন। কিন্তু পরমার্থ—শাস্ত্র এ অধিমাসটিকে সর্বোপরি শ্রেষ্ঠ
বলে ঘোষণা করেছে। যেহেতু এ মাসটি সকল প্রকার সকাম
কর্মশূন্য, তাই সেটি হরিভজনের জন্য অধিক উপযোগী। স্বয়ং
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পরমপবিত্র বৈশাখ, কার্তিক ও মাঘ
মাস অপেক্ষা এই অধিমাসকে অধিক মহিমা প্রদান করেছেন
এবং একে নিজ নাম ‘পুরুষোত্তম’ দ্বারা অলঙ্কৃত করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই