শ্রীশচীতনয়াষ্টকম্



                                        উজ্জ্বল-বরণ-গৌরবর-দেহং

 বিলসিত-নিরবধি-ভাব-বিদেহম্।

 ত্রিভুবন-পাবন-কৃপায়াঃ লেশং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।১।।

 অনুবাদ— যাঁর উজ্জ্বল বরণ, গৌরবর্ণ সুন্দর দেহখানি নিরবধি অসীম ভাবসমূহে বিশেষরূপে উপচিত হয়ে শোভা পাচ্ছে, যাঁর কৃপা ত্রিলােক পবিত্র করে, সেই (কলিযুগপাবনাবতারী রাধাকৃষ্ণ-মিলিততনু ভগবান) শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


গদ-গদ-অন্তর-ভাববিকারং

 দুর্জন-তর্জন-নাদ-বিলাসম্।

 ভব-ভয়-ভঞ্জন-কারণ-করুণং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।২।।


 অনুবাদ— যাঁর বাক্য গদগদ অন্তর ভাববিকারে দ্রবীভূত, যাঁর হুঙ্কারে (সিংহনাদে) দুর্জনগণ ভীত হয়, যাঁর করুণা সংসারভীতি খণ্ডন করে, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


অরুণাম্বর-ধর-চারু-কপােলং

ইন্দু-বিনিন্দিত-নখচয়-রুচিরম্।

জল্পিত-নিজগণ-নাম-বিনােদং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।৩।।

 অনুবাদ— যাঁর পরিধানে অরুণবসন, যাঁর সুন্দর গণ্ডদেশ ও নখকান্তি চন্দ্রকে নিন্দা করে, যিনি নিজের (শ্রীশীরাধাকৃষ্ণের) নাম, গুণ ও লীলা কীর্তন করেন অথবা নিজ নাম গুণকীর্তনে উল্লসিত হন, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


বিগলিত-নয়ন-কমল-জলধারং

 ভূষণ-নবরস-ভাববিকারম্।

গতি-অতি-মন্থর-নৃত্য-বিলাসং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।৪।।

অনুবাদ— যাঁর নয়নপদ্ম থেকে জলধারা বিগলিত হচ্ছে, নব নব অপ্রাকৃত রসাস্বাদজনিত ভাববিকারসমূহ যাঁর ভূষণ, যাঁর গমন অতি ধীর, যাঁর নৃত্য বিচিত্র, সেই শ্রীচশীতনয়কে প্রণাম করি।


চঞ্চল-চারু-চরণ-গতি-রুচিরং

মঞ্জীর-রঞ্জিত পদযুগ-মধুরম্।

চন্দ্র-বিনিন্দিত-শীতল-বদনং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়।।৫।।

 অনুবাদ— যাঁর চঞ্চলপদের গমনভঙ্গী মনােহর, (মঞ্জীর) নুপুর যাঁর পদদ্বয়ের (মাধুর্য) শােভা সম্পাদক করছে, যাঁর বদন চন্দ্র অপেক্ষা শীতল, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


ধৃত-কটি-ডাের-কমণ্ডলু দণ্ডং

 দিব্য-কলেবর মুণ্ডিত-মুণ্ডং।

দুর্জন কল্মষ-খণ্ডন-দণ্ডং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।৬।

অনুবাদ—কটিদেশে ডাের (কৌপিন-বর্হিবাস), হস্তে দণ্ড, কমণ্ডলু প্রভৃতি ভূষণে বিভূষিত যাঁর দিব্য কলেবর, মস্তক মুণ্ডিত, যাঁর দণ্ড (ধারণ) দুর্জনগণের পাপ খণ্ডনের জন্য, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


ভূষণ ভূরজ-অলকাবলিতং

 কম্পিত-বিম্বাধরবর-রুচিরম্।

মলয়জ-বিরচিত-উজ্জ্বল-তিলকং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।৭৷৷


 অনুবাদ— ধরণীর ধূলি নির্মিত অলকাসমূহ যাঁর ভূষণ, যাঁর বিম্বফলের মতাে অধর কম্পিত হচ্ছে, যাঁর ললাটে উজ্জ্বল মলয়জ-চন্দনের তিলক শােভা পাচ্ছে, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।


নিন্দিত-অরুণ-কমলদল-লােনচং

 আজানুলম্বিত-শ্রীভুজযুগলম্।

কলেবর কৈশাের নর্তকবেশং

তং প্রণমামি চ শ্রীশচীতনয়ম্।।৮।।

 অনুবাদ— যাঁর নেত্র-যুগল রক্ত পদ্মের পত্ৰতুল্য, বাহুযুগল জানুদেশ পর্যন্ত বিলম্বিত, কিশাের শরীর, নর্তকবেশ, সেই শ্রীশচীতনয়কে প্রণাম করি।

কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.