একাদশী-ব্রতোপবাস - একাদশীর পরিচয়
একাদশী তিথি এই জড়জগতের সাধারণ এক জড়া তিথি নহেন- তিনি সাক্ষাৎ ভগবান বিষ্ণুর প্রিয়া অর্থাৎ ভগবতী দেবী- “একাদশী মহাপুণ্যা বিষ্ণোরীশস্য বল্লভা” (বৈষ্ণবতন্ত্র)।
এষা তিথিঃ পরাপুণ্যা বিষ্ণোরীশস্য তুষ্টিদা।
তস্যামেব জগন্নাথো অমূর্ত্তো মূর্ত্তিমান স্থিতঃ ॥
যা সা বিষ্ণুময়ী শক্তিরনন্তা ব্যাপা যা স্থিতা।
সা তেন তিথিরূপেণ দ্রষ্টব্যৈকাদশী সতী ॥
‘পরম-পুণ্যস্বরূপা এই তিথি পরমেশ্বর বিষ্ণুর আনন্দবিধায়িনী। মহাকারুণিক শ্রীজগন্নাথদেব ঐ একাদশীস্বরূপে মূর্ত্তিমান হইয়া জগতে বিরাজ করিতেছেন। সেই অনন্তস্বরূপা বিষ্ণুময়ী শক্তি সকল জীবের সর্বপ্রকার মঙ্গল বিধানের উদ্দেশ্যেই পরম শুভ একাদশী তিথিরূপে প্রকটিতা, জানিতে হইবে’-(ভবিষ্য পুরাণ)।
‘হরিবাসর’ মাধবতিথি’ ‘বৈষ্ণববতিথি’ ‘হরের্দ্দিন’ প্রভৃতি নামে এই একাদশী তিথি শাস্ত্রে কথিত হইয়াছেন। শ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমী, রামনবমী প্রভৃতি ভগবৎ-আবির্ভাব তিথিও ঐ সকল নামে পরিচিত। সুতরাং এইস্থলে একাদশী ব্রতপালনের প্রয়োজনীয়তা, উদ্দেশ্য, বিধি-বিধান, প্রভৃতি যাহা আলোচনা করা হইতেছে, শ্রীজন্মাষ্টমী প্রভৃতি হরিতিথি সম্বন্ধেও একই প্রকার বুঝিতে হইবে।

কোন মন্তব্য নেই