বৈষ্ণবদের কৃপা লাভ



     শ্রীল প্রভুপাদ আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাঁর নির্দেশে যাঁরাই শ্রীকৃষ্ণভাবনা প্রচারে তাঁদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন, অবশ্যই তাঁরা সকলেও শ্রীল প্রভুপাদের অত্যন্ত প্রিয়। অতএব শ্রীল প্রভুপাদের  প্রিয়জনদের যদি আমরা সেবা দান করতে পারি, তবে সেটাও হবে শ্রীল প্রভুপাদের কাছে সুখের বিষয়। কেউ কেউ সমালোচনা করতে পারে যে, উৎসবাদি সবই বাড়াবাড়ি এবং প্রকৃত সেবা হল নির্দেশ উপদেশাবলী মেনে চলা। অবশ্যই গুরু বৈষ্ণবের নির্দেশ উপদেশগুলি কার্যকরী করে তোলার উপযোগীতাকে আমরা ছোট করে দেখব না, তবে এই কৃষ্ণভাবনাময় আন্দোলন একটা পারমার্থিক সংস্কৃতিও বটে, এবং এই সংস্কৃতি অনুশীলনের মাঝে কতগুলি আচার-আচারণ রয়েছে, যার মাধ্যমে কোনও ভক্ত অন্যদের প্রতি যে প্রীতিভাব পোষণ করে থাকে, তার অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ পায়। এই ভাবাবেগ অভিব্যক্ত হওয়ার সুযোগ দিলে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি যে ভক্তিভাব আছে, সেটাও তারফলে বৃদ্ধিপায়। আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারি না। আবার বৈষ্ণব মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণের এবং পূর্বতন আচার্যদের প্রতিষ্ঠিত বৈষ্ণব আচরণবিধি অনুসরণের উপযোগীতাও অবহেলা করতে পারি না।


    যদি বাস্তবিকই, আন্তরিকতা, বিশ্বাস আর দরদ দিয়ে সেবা করা হয়, তাহলে তা সার্থক্ বিশ্বাস আর ভক্তি ছাড়া, কেবলমাত্র আচার অনুষ্ঠান সবই হয় প্রাণহীন শুষ্ক আর তা অন্তর স্পর্শ করে না, এবং নিজের কাছে সন্তোষজনক মনে হয় না। অবশ্যই তা বাঞ্ছনীয়ও নয়। তবে বৈষ্ণবদের কাছ থেকে শ্রীকৃষ্ণের মহিমা  শ্রবণ, বৈষ্ণবদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নাম জপ-কীর্তন, আর কৃষ্ণভাবনায় যে সব বৈষ্ণবগণ তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদর সেবা করার চেয়ে বেশি মাহাত্ম্য আর কিসে থাকতে পারে !


 যখন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীপাদ ঈশ্বরপুরীর নিকট হতে দীক্ষা গ্রহণ করে গয়া থেকে ফিরলেন, তখন থেকে তিনি অতি অন্তরঙ্গভাবে ভক্তদের সাথে সঙ্গলাভ করতে শুরু করেন। তিনি গঙ্গানদীতে যেতেন আর সমস্ত ষ্ণৈবগণকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুদ্ধ পার্ষদরূপে মহিমান্বিত করে তাঁর প্রণতি জানাতেন। শ্রীচৈতন্য ভাগবতের মধ্যখন্ডে (২/৪৩) তিনি বলেছেন-

          তোমা’ সবা’ সেবিলে সে কৃষ্ণভক্তি পাই।

          এত বলি’ কারো পায়ে ধরে সেই ঠাই ॥

‘আপনাদের সকলের সেবা করে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুদ্ধ ভক্তি লাভ হয়।’ এই কথাগুলি বলে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব ভক্তদের চরণে পতিত হতেন আর জড়িয়ে ধরতেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তদের কাপড় চোপড় গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যেতেন এবং তাঁদের ধুতি ও অন্য সব জামাকাপড় পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে ভাঁজ করে রেখে দিতেন। তাঁরা যখন জল থেকে উঠে আসতেন, তিনি সেই সব তুলে তাঁদের হাতে দিয়ে মহাপ্রভু নিজে তাঁদের সেবা দান করতেন। যখন দেখতেন, তাঁরা গঙ্গাদেবীকে আরাধনা জানাবার উদ্দেশ্যে কিছু শাস্ত্রসম্মত আচার আচরণ পালন করতে চাইছেন, তখনই তিনি তাঁরা না চাইতেই তাঁদের জন্য কুশঘাস আর গঙ্গামাটি এ সব এনে দিতেন। মহাপ্রভুর এই সব সেবা দেখে সব বৈষ্ণবগণই বলে উঠতেন, ‘আহা ! কর কী ! কর কী ! থাক থাক! তবুও ভক্তগণের প্রতি সেবাদানে বিশ্বম্ভর বিরত হতেন না। এইভাবে প্রতিদিন বিশ্বম্ভর প্রভু গঙ্গায় যেতেন আর তিনি তাঁর নিজেরই দাসগণকে সামান্য কাজের ভৃত্যের মতো সেবা করতেন।


   যেহেতু মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব হলেন বাস্তবিকই শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং, তাই বৈষ্ণবগণের প্রতি তাঁর সেবার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিজের ভক্তদেরই সেবা করেছেন। তাঁর ভক্তগণের সেবা উদ্দেশ্যে তাঁর নিজের প্রতিজ্ঞা পর্যন্ত তিনি ভঙ্গ করে থাকেন। এই কথাই শ্রীমদ্ভাগবতে(১/৯/৩৭) বোঝানো হয়েছে -


     স্বনিগমমপহায় মৎপ্রতিজ্ঞা-

      মৃতমধিকর্তুমবপ্লুতো রথস্থঃ।

      ধৃতরথচরনোহভ্যয়াচ্চলদগু-

     র্হরিরিব হন্তুমিভং গতোত্তরীয় ॥


  ‘আমার অভিলাষ পূরণ করতে তিনি তাঁর নিজের প্রতিজ্ঞা ত্যাগ করেও রথ থেকে নেমে রথের চাকাটি তুলে নিয়ে আমার পানে দ্রুত ছুঠে এলেন, ঠিক যেমন সিংহ ছুটে আসে হাতিকে বধ করতে। এমনকি তাঁর উত্তরীয়টিও পথিমধ্যে পড়ে গিয়েছিল।’ এর তাৎপর্য - তাই তিনি (ভীষ্মদের) শপথ করলেন যে, পরদিন শ্রীকৃষ্ণকে স্বয়ং অস্ত্র ধারণ করতে হবে, না হলে তাঁর সখা অর্জুনের মৃত্যু হবে। পরের দিনের যুদ্ধে ভীষ্মদেব এমনই প্রচন্ডভাবে যুদ্ধ করলেন যে, অর্জুন আর শ্রীকৃষ্ণ দু’জনেই সঙ্কটে পড়লেন। অর্জুন প্রায় পরাস্ত হলেন, এবং পরিস্থিতি এমনই ঘোরতর হল যে, পরমুহূর্তেই বুঝি ভীষ্মদেবের দ্বারা তিনি হত হবেন। সেই সময়ে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্ত ভীষ্মদেবের প্রতিজ্ঞা পূরণের মাধ্যমে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে চাইলেন, যা তার নিজের প্রতিজ্ঞার চেয়েও ছিল জরুরী। আপাতভাবে তিনি তাঁর নিজেরই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হওযার আগে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি অস্ত্রহীন হয়েই থাকবেন এবং কোন পক্ষের অনুকূলেই তিনি তাঁর শক্তি প্রয়োগ করবেন না। কিন্তু অর্জুনকে রক্ষা করার জন্য তিনি রথ থেকে নামলেন, আবার অন্যদিকে ভীষ্মদেবের প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার জন্য তিনি রথের চাকা তুলে নিলেন। যেহেতু ভীষ্মদেব চেয়েছিলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সখাকে রক্ষা করার জন্য কোনও অস্ত্র ধারণ করুন, ভগবান তাই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেন। একদিকে অর্জুনকে রক্ষা করলেন এবং অন্যদিকে ভীষ্মদেবের শপথ পূর্ণ হল।


কেউ চিনতে পারেনি যে, ভগবান স্বয়ং নবদ্বীপে অবতীর্ণ হয়ে ভগবান গৌর চন্দ্ররূপে তাঁর নিজের দৃষ্টান্ত দিযে শেখাচ্ছেন কিভাবে বৈষ্ণবগণের সেবা করতে হয়। কোন দ্বিধা না করে তিনি তাঁদর ধুতি জামাকাপড় সব আনতেন। যখন এক বৃদ্ধ বৈষ্ণব গঙ্গা থেকে উঠতে পারছিলেন না, তিনি সেই বৈষ্ণবটির হাত জাপটে ধরে ওঠাতেন জল থেকে। সমস্ত ভক্তগণে শ্রীচেতন্যদেবের বিনয় আর সেবা মনোভার দেখে, তাঁরা সবাই তাঁকে একজন ভক্ত মনে করে, ভগবানের প্রতি তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত আশীর্বাদ জানাতে থাকতেন,‘ শ্রীকৃষ্ণে যেন মতি হয়, কৃষ্ণ চিন্তায় মগ্ন হও, কৃষ্ণ ভজনা কর, কৃষ্ণ নাম শোন। কৃষ্ণই প্রাণ, কৃষ্ণই ধন, সবার মাঝে কৃষ্ণই সব। হরে কৃষ্ণ জপ কর, কৃষ্ণ দাস হও। অন্তরে কৃষ্ণ বিরাজ করুন’ এবং এমনি আরও অনেক আশীর্বাদ। এক ব্রাহ্মণ আশীর্বাদ করলেন, ও নিমাই পন্ডিত, শাস্ত্রগ্রন্থ পড়ে এই জগতটা যে কি তা যেমন বুঝেছ, তেমনি এখন কৃষ্ণ ভজনা করে নাস্তিক আর অসুরগলিকে ধ্বংস করতো ! তোমার দয়ায় তাহলে শান্তিতে জপ করতে পারি, কৃষ্ণ কীর্তন করে মহানন্দে নাচতে পারি। এইভাবে বিভিন্ন ভক্তগণ শ্রীচৈতন্যদেবকে স্পর্শ করে এই সব আশীর্বাদ করে যেতেন। 


 শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ভক্তদের আশীর্বাদ মাথা পেতে নিয়েছিলেন। তিনি বলতেন,‘ ভক্তদের আশীর্বাদ পেলে আমি শ্রীকৃষ্ণে ভক্তি লাভ করব।’ কিন্তু যখন মহাপ্রভু ভক্তদের দুৎখের কথা শুনতেন, তাঁর হৃদয়ে বেদনা অনুভব হত আর তিনি তাদের হরিনাম অনুশীলন করে যেতে বলতেন। পবিত্র নামে বাঁধা দিয়ে যারা অপরাধ করে তাদের কোন ভয় না করে মনের সুখে হরিনাম কীর্তন করে যেতে উৎসাহ দিতেন। তিনি ঘোষনা করে দেন যে, নবদ্বীপকে পারমার্থিক জগতের আনন্দে ভরে দেবেন, ভক্তের কৃপায় শ্রীকৃষ্ণ অবশ্যই আসবেন, যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তিনি তাঁর ভক্তদের কোন মতেই ত্যাগ করেন না। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব সকল ভক্তদের পায়ের ধুলো নিতেন। তারপর ভক্তদের সেবা সমাপন করে তিনি গঙ্গা øান করে বাড়িতে ফিরে যেতেন। শ্রীচৈতন্যদেব এতই বিনয়ী ছিলেন যে, তিনি নিজে ভক্তদের জন্য ছোটখাটো কাজও করে দিতেন। এক ভক্ত অন্য এক ভক্তের সেবা করবে, এতে কী বলার আছে ! কীসের দ্বিধা হবে আমাদের তাতে ? 


বাস্তবিকই, শ্রীল প্রভুপাদ বলতেন যে, ভক্তদের আশীর্বাদ করার ক্ষমতা আছে। যখন প্রবীণ ভক্তদের একটা গোষ্ঠী একত্রিত হতেন, তখন কোন ভক্ত প্রচারকার্যে বেরুলে তাকে আশীর্বাদ করার জন্য তিনি ঐ সব প্রবীণ ভক্তগোষ্ঠীকে বলতেন। এটা আমাদের কাছে বেশ অস্বস্তিকর হত, কারণ গুরুদেবের সমক্ষে কেমন করে আমরা কাউকে আশীর্বাদ জানাতে পারি কিংবা সে ক্ষেত্রে আমাদের আশীর্বাদের কি যে মূল্য-মর্যাদা, আমরা বুঝে উঠতে পারতাম না। তবে শ্রীল প্রভুপাদ বিশেষভাবে বলতেন যে, পরমেশ্বর ভগবানের সেবায় নিযুক্ত যে বৈষ্ণবগণ তারা সকলেই ভগবানের প্রিয়জন। তাদের প্রত্যেকেরই আশীর্বাদ জানাবার সামর্থ্য রয়েছে এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তদের অভিলাষ অবশ্যই শুনবেন।


 শ্রীল প্রভুপাদের পিতৃদেব, তাঁর বাড়িতে যে সব বৈষ্ণবগণ আসতেন, তাঁদের প্রত্যেককেই তাঁর পুত্রসন্তান শ্রীল প্রভুপাদকে আশীর্বাদ জানাতে বলতেন। এই কথা ‘লীলামৃত’ গ্রন্থে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালের নভেম্বরে শ্রীল প্রভুপাদ নিজে আমাকে, ভক্তিবেদান্ত চ্যারিটি ট্রাস্টের সভাপতিরূপে তাঁর হয়ে সেবা সম্পন্ন করতে বলেন, তাঁর গুরুভ্রাতাদের জন্য, এমনকি যাঁরা আগে প্রকাশ্যে শ্রীল প্রভুপাদের বিরোধিতা করেছেন তাঁদের জন্যও। যদিও কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের ভাই শ্রীল ললিতপ্রসাদ ঠাকুরের সম্পর্কে সঙ্কটকাল চলছিল, শ্রীল প্রভুপাদ তবুও আমাকে সেখানে গিয়ে তাঁর আশ্রমটি মেরামত করে রঙ করে দিতে বলেছিলেন। শ্রীল প্রভুপাদ দেখিয়েছিলেন কিভাবে বৈষ্ণবগণের সেবা করা উচিৎ। আসলে আমি শুধুমাত্র শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশ পালন করে চলতাম। তবে বৈষ্ণবগণ আমার সামান্য সেবায়, এমনকি সেই সেবা যথাযথ ভাবে সম্পন্ন না হলেও, তাঁরা সন্তুষ্ট হলে তাঁদের আশীর্বাদ পেতাম্ আর তাঁদের অহৈতুকী কৃপায়, অনেক প্রবীণ বৈষ্ণবগণ প্রশংসাও জানাতেন। কোনও কোনও সময়ে ভুল বোঝাবুঝির ফলে, অন্যান্য বৈষ্ণবগণের মন্দির গুলিতে যাওয়া আমাদের বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। যেহেতু তাঁরা আমাদের দীক্ষাগুরুর বিরূপ সমালোচনা করতেন। কিন্তু পরে শ্রীল প্রভুপাদের আদেশে, আমি যেতে এবং সেবাদান করতে বাধ্য হই। সুতরাং এইভাবে আমরা গুরু এবং বৈষ্ণবগণ উভয়েরই অহৈতুকী কৃপা অর্জন করতে পারতাম। শ্রীল প্রভুপাদ যেমন দেখিয়েছিলেন কিভাবে আমাদের প্রবীণ বৈষ্ণবদের সেবা করতে হয়, সেইভাবেই তাঁদের কাছ থেকে শুদ্ধ ভক্তিপূর্ণ আশীর্বাদ ভিক্ষা করাটাও যুক্তিযুক্ত। ভগবদ্ভক্তির পথে দ্রুত এগিয়ে যেতে তা আমাদেরকে সাহায্য করে।


   আমার কাছে খুবই সুখের হবে যদি আমার শিষ্যসমূহ সমস্ত বৈষ্ণবগণের সেবায় এমনই স্থিরচিত্ত আর সুনিপূণ হয়ে উঠে যে, তারা পরমেশ্বর ভগবানের উৎসাহী সেবকমন্ডলী রূপে সুনাম অর্জন করতে পারে। অবশ্যই ভগবদ্ভক্তদের প্রতি বিশ্বাস রাখা একটা খুব বড় ব্যাপার। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের অন্তলীলায় ষোড়শ অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে কিভাবে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপালাভ করেছিলেন কালিদাস। শুধুমাত্র ভগবদ্ভক্তদের মর্যাদার প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস। কালিদাসের সম্পূর্ণ লীলা কথা সমস্ত ভক্তদের জানা উচিৎ। কালিদাস গৌড়দেশের সমস্ত বৈষ্ণবদের উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করেছিলেন। ভগবদ্ভক্তদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস থাকার ফলেই কালিদাস অচিরেই মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের কৃপা লাভ করেছিলেন। 


আমি আশাকরি যে, শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীকৃষ্ণভাবনাময় আন্দোলনে যাঁরা সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছেন, তেমনি কত অগ্র্রণী বৈষ্ণবদের সান্নিধ্য 

লাভের সুযোগ গ্রহণ করবে আমার শিষ্যসমূহ । প্রবীণ ভক্তরা আশীর্বাদ জানাতে দ্বিধাগ্রস্থ হলেও শিষ্যরা তাঁদের সেবাদান করে আশীর্বাদ ভিক্ষা করতে পারে। সুনিশ্চিত ভাবেই, শ্রীল প্রভুপাদ, পূর্বতন আচার্যমন্ডলী, এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশাবলী থেকে এ বিষয়ে কোন দ্বিধা বা সন্দেহ থাকতেই পারে না। আমি অবশ্যই সন্তুষ্ট হব যদি আমার শিষ্যসমূহ এ বিষয়ে কোন সন্দেহ বা লজ্জা পোষণ না করেই তারা পরমোৎসাহে বৈষ্ণবগনের সেবাকার্য সম্পাদন করতে পারে ; অবশ্য এ বিষয়ে ইস্কনের বিধি নিয়মাদি মেনে নিয়েই তা করা চাই।


২টি মন্তব্য:

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.