স্বামীর যােগ্যতা



সাধারণত নারীজাতির জড় কামনার কোনাে শেষ নেই। প্রচুর অর্থ। এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী না হলে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করা খুবই কঠিন। নারীজাতির প্রধান তিনটি চাহিদা হল :


১। অপর্যাপ্ত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের চাহিদা

২। সুন্দর সুন্দর পােশাক এবং অলঙ্কারের চাহিদা ও 

৩। যৌন তৃপ্তির চাহিদা। কোনাে পুরুষ যদি নারীর


উপরােক্ত তিনটি চাহিদা মেটাতে না পারে, তা হলে সেই সংসারে সমস্যার শেষ নেই। কিন্তু সমস্যা হল, এই চাহিদাগুলি পরিপূর্ণভাবে | পরিতৃপ্ত করা কখনােই সম্ভব হয় না। যখনই কোনাে পুরুষ তার স্ত্রীর এই সমস্ত চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য কোমর বেঁধে লেগে পড়েন, তখন কৃষ্ণভাবনামৃত আস্বাদনের ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে যায়।


তা হলে এই সমস্যার সমাধান কি? এই সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তীব্রভাবে কৃষ্ণভাবনার অনুশীলন করতে হবে।স্বামীর কর্তব্য, স্ত্রীকে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত রাখা। যদিও স্ত্রীজাতির  ভােগবাসনা অনেক বেশি, তবুও তাদের একটা বিশেষ যােগ্যতা আছে  যা পুরুষের ক্ষেত্রেও ততটুকু নেই। সেটা হল তাদের হৃদয়ের সরলতা কোন নারী যখন কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা  যায় তার সরল ভক্তি বিশ্বাস পুরুষের থেকেও বেশি।


পৃথিবীর সমস্ত দেশেই দেখা যায়, পুরুষদের থেকে নারীদের ধর্মপ্রবণতাই যেন অধিক প্রবল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে মহিলাদের সমাগমই বেশি হয়ে থাকে।


একটা সরল শিশুকে যেমন কুপথে চালিত করা সহজ, তেমনি সুপথে চালিত করাও সহজ। নারীরাও অনেকটা শিশুর মতাে। তাই স্বামীর কর্তব্য হল তার স্ত্রীকে এমনভাবে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত করা যাতে স্বতস্ফূর্ত ভাবেই স্ত্রীর জড় চাহিদা কমে যায়। পাশাপাশি স্ত্রীর পর্যাপ্ত ভরণপােষণের দায়িত্ব স্বামীকে অবশ্যই নিতে হবে। কিন্তু স্বামীর মূল দায়িত্ব হল স্ত্রীকে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত করা। শ্রীমদ্ভাগবতে (৫/৫/১৮) বলা হয়েছে, যে পতি তার স্ত্রীকে কৃষ্ণভাবনা' দানের মাধ্যমে আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করতে পারে না, সেই ব্যক্তি স্বামী হবার যােগ্য নয়।


আদর্শ গৃহস্থ জীবন থেকে সংগ্রহীতর্

: APP Link Downloads :



কোন মন্তব্য নেই

merrymoonmary থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.